পেকুয়া প্রতিনিধি:

পেকুয়ায় পৃথক পৃথক দূর্বৃত্তের হামলায় স্কুল ছাত্রসহ ৩জন আহত হয়েছে। আহতরা হলেন, রাজাখালী ইউনিয়নের বখশিয়া ঘোনা এলাকার নুরুল আলমের স্ত্রী হামিদা বেগম(৫০),দশের ঘোনা এলাকার মৃত এজার মিয়ার পুত্র বাদশা মিয়া(৫০), বারবাকিয়া ইউনিয়নের বোধামাঝির ঘোনা এলাকার রশিদ আহমদের পুত্র এমএইচ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৫ম শ্রেনীর ছাত্র মোশারফ আলী। রবিবার আর সোমবার রাজাখালী ও বারবাকিয়া ইউনিয়নে পৃথক পৃথক হামলার ঘটনাগুলো ঘটে। বাড়ির লোকজন তাদেরকে উদ্ধার করে পেকুয়া সরকারী হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দিচ্ছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহতদের সাথে কথা বলে বক্তব্য নেন পেকুয়া থানার এসআই বিপুল চন্দ্র রায়।

আহত হামিদা বেগম বলেন, আমার ছেলে হেলাল উদ্দিনকে গত ১মাস আগে মারধর গুরুতর আহত করে একই এলাকার রেজাউল করিম প্রকাশ কালু, মনছুর আলম, মো: বানচুসহ আরো কয়েকজন। আমার ছেলে সাগরে জাল বসাতে গিয়ে তাদেরকে ১লাখ টাকা চাঁদা না দেওয়ায় তারা হামলা করেছিল। হামলার পর আদালতে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। মামলার পর থেকে সাগরে পড়ে থাকা তার জালগুলো নষ্ট হয়ে যাওয়ায় রবিবার সকাল ১১টার দিকে আমি জালগুলো নিয়ে আসার সময় রেজাউল করিমের বাড়ির পাশের্^ আসামাত্র তিনি এবং মনছুর, বানচুসহ আরো কয়েকজন মিলে মারধর করে দাঁত ফেলে দিয়ে ৪০হাজার টাকার জাল ছিনিয়ে নেয়। ওই সময় সংঘবদ্ধ দূর্বৃত্তরা আমার একটি রকেট ও স্বর্ণের কানফুলও ছিনিয়ে নেয়। স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে পেকুয়া সরকারী হাসপাতালে ভর্তি করায়।

আহত বাদশা মিয়া বলেন, আমি লবণচাষী। সোমবার সকাল ৮টার দিকে লবণ বিক্রির ৫০হাজার টাকা নিয়ে দশেরঘোনা হয়ে পেকুয়া বাজারে আসছিলাম। বারবাকিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম জালিয়াকাটা আসা মাত্র পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ওই এলাকার মালেকা বেগম, দিলোয়ারা বেগম, পাখি ও রবিউল নামের এক যুবক আমাকে মারধর করে আহত করে। একপর্যায়ে আমার পকেটে থাকা ৫০হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় তারা। পরে ওই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা এগিয়ে আসলে তারা পালিয়ে যায়।

আহত স্কুল ছাত্র মোশারফ আলী বলেন, রবিবার বিকেল ৪টার দিকে স্কুল শেষ করে বাড়ি ফিরছিলাম। পানি পান করতে মকসুদের দোকানে যায়। ওই সময় একই এলাকার মনিয়্যার ছেলে মো: রাশেদ আমার বই আর কথা ছিড়ে ফেলে। আমি বই ছিড়ে ফেলার কারণ জানতে চাওয়ায় মাথায় আঘাত করে আহত করে।

এবিষয়ে জানতে চাইলে পেকুয়া থানার এসআই বিপুল চন্দ্র রায় বলেন, মৌখিক ও লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে আমি আহতেরকে হাসপাতালে দেখতে যায়। হামিদা বেগমের অভিযোগের তদন্ত আমি করতেছি। আর বাদশা ও স্কুল ছাত্র মোশারফ আলীর ব্যাপারে তাদের পরিবার মৌখিকভাবে জানিয়েছে। লিখিত অভিযোগ ফেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।